অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা, ভর্তিতথ্য, মোট খরচ | অক্সফোর্ড স্নাতক ভর্তি তথ্য
Oxford University তে পড়াশোনার স্বপ্ন কার না থাকে। কারণ বিশ্বে যত্তসব নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সেগুলোর মধ্যে Oxford University অন্যতম। এইখানে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়াটা অনেক সুনামের এবং সন্মানের ব্যাপার।
কিন্তু অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা, ভর্তিতথ্য, পড়ার খরচ এই সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন না থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা ভর্তি প্রসেসিং গুলোকে অত্যন্ত জটিল মনে করে ঐ দিকে আর এগোয় না। অনেকেই আবার মনে করে Oxford এ পড়ালেখা মানেই বিশাল টাকা পয়সার ব্যাপার স্যাপার। কিন্তু না; এখানে আছে বিনামূল্যে পড়ার জন্য স্কলারশীপের সুযোগ।
Oxford University র ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে যেসব শিক্ষার্থীর কোনো ধারণা নেই, তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি অনেক উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি। এই পোস্টে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা, ভর্তিতথ্য, পড়ার খরচ, Subject চয়েস, কলেজ চয়েস, একাডেমিক যোগ্যতা, ইংলিশে দক্ষতা, অন্যান্য দক্ষতা, ইন্টারভিউ ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়েছে। আশা করি পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা, ভর্তিতথ্য, পড়ার খরচ ইত্যাদি সম্পর্কে একটা পরিষ্কার ধারণা পেয়ে যাবেন। নিম্নে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম ও ভর্তি প্রক্রিয়া Step by Step আলোচনা করা হলো :
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন কখন শুরু হয় :
প্রতি বছর জুন মাসে UCAS এর মাধ্যমে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। UCAS APPLICATION জুন মাসে শুরু হয়ে শেষ হয় অক্টোবর মাসের ১৬ তারিখে। Application এর জন্য এখানে ক্লিক করুন।
Subject নির্বাচন :
Oxford University র ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে বিষয় নির্বাচন অর্থাৎ যে বিষয় নিয়ে আপনার পড়ার আগ্রহ সেটা চয়েজ করা। Oxford University তে স্নাতক শ্রেণীর জন্য ৫৪ টির মত কোর্সগুলো চালু রয়েছে। আমি সবগুলো কোর্সের নাম নিচে লিখে দিলাম। কোর্সগুলো ভাল করে দেখুন, এরপর ভেবে চিন্তে আপনার পছন্দের কোর্সটি চয়েজ করুন। কোর্স গুলো হলো:
Archaeology and Anthropology
Asian and Middle Eastern Studies
Biochemistry (Molecular and Cellular)
Biology
Biomedical Sciences
Chemistry
Classical Archaeology and Ancient History
Classics
Classics and Asian and Middle Eastern Studies
Classics and English
Classics and Modern Languages
Computer Science
Computer Science and Philosophy
Earth Sciences (Geology)
Economics and Management
Engineering Science
English Language and Literature
English and Modern Languages
European and Middle Eastern Languages
Fine Art
Foundation Year (Chemistry,
Engineering and Materials Science)
Foundation Year (Humanities)
Foundation Year (Law)
Foundation Year (PPE)
Geography
History
History (Ancient and Modern)
History and Economics
History and English
History and Modern Languages
History and Politics
History of Art
Human Sciences
Law (Jurisprudence)
Materials Science
Mathematics
Mathematics and Computer Science
Mathematics and Philosophy
Mathematics and Statistics
Medicine
Medicine (graduate entry)
Modern Languages
Modern Languages and Linguistics
Music
Philosophy and Modern Languages
Philosophy, Politics and Economics (PPE)
Philosophy and Theology
Physics
Physics and Philosophy
Psychology (Experimental)
Psychology, Philosophy and Linguistics
Religion and Asian and Middle Eastern Studies
Theology and Religion
কলেজ চয়েস :
সাবজেক্ট চয়েস করা হয়ে গেলে Subject অনুযায়ী কলেজ খুঁজে বের করতে হয়। Oxford University র অধীনে অনেকগুলো কলেজ রয়েছে। তম্মধ্যে ৩৫ টি কলেজে HSC পাশ করার পর স্নাতক পড়ানো হয়।
উল্লেখ্য যে, ভর্তির জন্য Oxford University তে সরাসরি আবেদন করা যায় না। আবেদন করতে হয় নির্দিষ্ট কলেজে। স্নাতকে পড়ার জন্য নিচের কলেজগুলোর যেকোনো একটাতে আবেদন করতে পারবেন। কলেজগুলো হলো:
Balliol College
Brasenose College
Christ Church
Corpus Christi College
Exeter College
Harris Manchester College
Hertford College
Jesus College
Keble College
Lady Margaret Hall
Lincoln College
Magdalen College
Mansfield College
Merton College
New College
Oriel College
Pembroke College
The Queen's College
Regent's Park College
St Anne's College
St Catherine's College
St Edmund Hall
St Hilda's College
St Hugh's College
St John's College
St Peter's College
Somerville College
Trinity College
University College
Wadham College
Worcester College
Wycliffe Hall
মনে রাখবেন, ভর্তির ক্ষেত্রে প্রথমেই সিলেক্ট করতে হয় কাঙ্ক্ষিত Subject. এরপর খুঁজে বের করতে হবে অক্সফোর্ডের অধীনে কোন্ কলেজসমুহে ঐ বিষয়টি পড়ানো হয়। মনে করুন আপনি গণিত বিষয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী। অক্সফোর্ডের অধীনে যে কলেজগুলোতে গণিত পড়ানো হয়, সেগুলো থেকে আপনার পছন্দের কলেজটি বেছে নিবেন।
আপনি যেই কলেজে ভর্তির আবেদন করবেন কেবলমাত্র সেই কলেজেই ঐ বিষয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে। অক্সফোর্ডের অধীনে বেশ কিছু সংখ্যক কলেজ আছে যেগুলো অনেক জনপ্রিয় এবং মর্যাদাপূর্ণ। সেই সব কলেজে কম্পিটিশন অনেক বেশি হয়।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা :
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা গুলোর মধ্যে প্রথম যোগ্যতা হচ্ছে একাডেমিক পরীক্ষায় ব্রিলিয়ান্ট রেজাল্ট।বাংলাদেশী স্টুডেন্টসদের জন্য ভর্তির যোগ্যতা হচ্ছে Higher Secondary School ( HSC ) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া এবং মিনিমাম CGPA থাকতে হবে 3.5
এক্ষেত্রে আরেকটি শর্ত হচ্ছে একজন শিক্ষার্থী Oxford University তে যে অনুষদে ভর্তি হতে ইচ্ছুক সেই রিলেটেড সাবজেক্ট উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে পঠিত থাকতে হবে। যেমন কোনো শিক্ষার্থী যদি বিজ্ঞানের কোনো কোর্সে ভর্তি হতে চান, সেক্ষেত্রে তার এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় Physics, Chemistry এবং Biology অবশ্যই থাকতে হবে।
উপরে উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতাগুলোর পাশাপাশি যাদের IB ( International Baccalaureate), A- Level, SAT এই ধরনের আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষার সনদ রয়েছে ভর্তি কমিটি তাদের বিশেষ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে থাকেন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা হিসেবে কিছু Extracurricular Activities বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। একাডেমিক পারফরম্যান্সের পাশাপাশি আবেদনকারীদের পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কোনো কার্যকলাপ, ব্যক্তিগত অর্জন যেমন স্টুডেন্টস এ্যাসোসিয়েশন ম্যানেজমেন্ট, কমিউনিটি সার্ভিস প্রজেক্ট, খেলাধুলা এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক ইভেন্টে অংশগ্রহণ, এই ধরনের Extracurricular Activities গুলো ভর্তি কমিটি বিশেষ বিবেচনা করে থাকে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা হিসেবে ইংরেজি ভাষা দক্ষতা :
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা হিসেবে ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। যেহেতু Oxford University ইংরেজদের তৈরি করা প্রতিষ্ঠান, সেহেতু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হলে আবেদনকারীদের অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় ভালো দক্ষতা থাকা আবশ্যক।
যেসব শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষা ইংরেজি নয়, তাদেরকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য TOEFL বা IELTS এই ধরনের পরীক্ষা দিয়ে নির্ধারিত স্কোর অর্জন করতে হয়। এক্ষেত্রে IELTS এ কমপক্ষে 7.0 স্কোর এবং TOEFL এ 95 পেতে হবে। তবে এর বেশি পেলে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
এখানে একটি কথা বলা দরকার- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় ইংরেজি ভাষা দক্ষতা কে। একাডেমিক রেজাল্টে আপনার সিজিপিএ তুলনামূলকভাবে কিছুটা খারাপ হলেও, এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ একটু হলেও থাকবে। কিন্তু ইংলিশে আশানুরূপ দক্ষতা না থাকলে এখানে পড়ার কোনো সুযোগ পাবেন না।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা :
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক কোর্সে ভর্তির আবেদনকারীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। সকল আবেদনকারীদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থী বেছে নেওয়ার জন্যই মূলত ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন। ভর্তি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করা জরুরি।
১লা সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশনের কাজ শেষ করতে হয়। সাধারণত অক্টোবর মাসের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
কোন্ কোর্সে ভর্তির জন্য কোন্ ভর্তি পরীক্ষা :
Oxford এ অনেকগুলো ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে - BMAT, ELAT, MAT, TSA, HAT, PAT, LNAT, এবং Philosophy Test.
BMAT: মেডিসিন, ভেটেরিনারি মেডিসিন এবং অনুরূপ কোর্সের আবেদনকারীদেরকে BMAT পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
ELAT: ইংলিশ লিটারেচার নিয়ে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ELAT পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
MAT: গণিত সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে স্নাতক পড়তে চাইলে MAT পরীক্ষা দিতে হবে।
TSA: রাজনীতি, অর্থনীতি, মনোবিজ্ঞান এবং ফিজিওলজি বিষয়ে স্নাতক কোর্সে ভর্তির জন্য TSA পরীক্ষা।
HAT: ইতিহাস বিষয় সংক্রান্ত কোর্সে পড়তে চাইলে HAT পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে।
PAT: ফিজিক্স বা পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের জন্য PATপরীক্ষা।
LNAT: আইন অনুষদে ভর্তির আবেদনকারীদেরকে LNAT পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়।
Philosophy Test: দর্শন বিষয়ে আবেদনকারীদের জন্য Philosophy Test দিতে হয়।
সহায়ক নথি জমা দেওয়া:
Oxford University তে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদনের পাশাপাশি কিছু সহায়ক নথি ( ডকুমেন্টস ) সাবমিট করতে হয়। যেমন-
- শিক্ষার্থীকে একটি সরকারি প্রতিলিপি জমা দিতে হয়
- অক্সফোর্ডে পড়ার উদ্দেশ্য/ গবেষণার বিষয়বস্তু লিখে জমা দিতে হয়
- এছাড়াও কিছু লিখিত কাজ ( WRITTEN WORK ) সাবমিট করতে হয়।
Oxford University তে ভর্তি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের একটা Personal Interview এ অংশগ্রহন করতে হয়। এই ইন্টারভিউ টি শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা, ভাষাগত দক্ষতা এবং যে কোর্সটি পড়তে চায় সেটাতে তারা উপযুক্ত কি না সেটাই যাচাই করা হয়। প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে ইন্টারভিউ অনুষ্ঠিত হয়। For Interview Click Here
Oxford University তে পড়াশোনা করা অনেক ব্যয়বহুল। শিক্ষার্থীদেরকে টিউশন ফি, আবাসন খরচ, জীবন যাত্রার খরচ বহন করার সক্ষমতা থাকতে হয়। চলুন দেখে নিই কোন্ খাতে কত খরচ হয় -
থাকা খাওয়া বাবদ খরচ :
Oxford University তে পড়াশোনার সময় একজন শিক্ষার্থীর থাকা খাওয়া বাবদ কত টাকা খরচ হতে পারে সেটা নির্ভর করে তার জীবন যাপনের ধরনের উপর। একেক জনের লাইফ স্টাইল একেক ধরনের। তাই খরচও ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে প্রতিমাসে একজন শিক্ষার্থীর খরচ £1345 থেকে £1955 এর মধ্যে হয়ে যায়।
খাবার খাদ্য বাবদ খরচ = £315 থেকে £495
আবাসন খরচ = £745 থেকে £925
পার্সোনাল খরচ = £190 থেকে £320
বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড বাবদ খরচ = £315 থেকে £495
পড়াশোনা খরচ = £35 থেকে £85
অন্যান্য খরচ = £20 থেকে £35
সব মিলিয়ে টোটাল খরচ £1345 -£1955
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি :
নিজ দেশীয় শিক্ষার্থী অর্থাৎ যুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি £9250. এছাড়াও যুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থীদের জন্য আরেকটা বিশেষ সুযোগ রয়েছে সেটা হচ্ছে তারা যুক্তরাজ্যের সরকারের কাছ থেকে সম্পূর্ণ কোর্স ফি লোন নিতে পারবে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য ছাড়া বাইরের যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি £33050; বাইরের দেশের শিক্ষার্থীদেরকে যুক্তরাজ্যের সরকার শিক্ষা লোন দেয় না। তবে আপনি যদি একেবারে বিনা মূল্যে পড়তে চান সেই সুযোগও রয়েছে এখানে। বিনা বেতনে পড়তে চাইলে স্কলারশীপের আবেদন করতে হবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবর্ষ ( Academic Year ) :
Oxford University র প্রতিটি শিক্ষাবর্ষকে ৩টি টার্মে ভাগ করা হয়েছে -
- Michaelmas Term - অক্টোবর মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত।
- Hilary Term - জানুয়ারি মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত।
- Trinity Term - এপ্রিল মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক ছুটি:
প্রতিবছর Oxford University র শিক্ষার্থীরা ৩টি ছুটি পেয়ে থাকে। ছুটিগুলো হলো:
- Christmas Vacation
- Easter Vacation
- Long Summer Vacation
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পদ্ধতি:
Oxford University র কোর্স পরীক্ষা সাধারণত প্রথম বছরের শেষে এবং আরেকটা পরীক্ষা একেবারে শেষ বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রথম বর্ষের পরীক্ষাকে Prelims বা Moderations বলা হয় আর শেষ বছরের পরীক্ষাকে Final পরীক্ষা বলা হয়। দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশনের জন্য প্রিলিমস পরীক্ষায় পাশ করা আবশ্যক। এবং সব শেষে ডিগ্রি পাশ করে সনদ অর্জনের জন্য ফাইনাল পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা, ভর্তিতথ্য, পড়ার খরচ ও ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে অন্তত পক্ষে এতটুকু ধারণা থাকা প্রত্যেকটা HSc পাশ শিক্ষার্থীর প্রয়োজন।
এক নজরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রমের সিডিউল :
প্রতি বছর জুন মাস থেকে Oxford University র ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভর্তির কাজ সম্পন্ন করার জন্য কোন্ মাসে কী কার্যক্রম এক পলকে দেখে নিন:
জুন মাসে
-UCAS এর মাধ্যমে ভর্তির আবেদন শুরু, ( আবেদন চলবে ১৬ অক্টাবর পর্যন্ত )-কোন্ Subject এ অধ্যয়ন করতে ইচ্ছুক সেটা চয়েজ করা
- কোন্ কলেজে পড়বে সেটা চয়েজ করা
আগস্ট মাসে
- পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা
- ভর্তি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশনের করা
- পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি ও প্র্যাকটিস
-পরীক্ষার কেন্দ্র খুঁজে বের করা
- ভর্তি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশনের করা
- পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি ও প্র্যাকটিস
-পরীক্ষার কেন্দ্র খুঁজে বের করা
সেপ্টেম্বর মাসে
-২৯ সেপ্টেম্বরের আগেই পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশনের কাজ কমপ্লিট করা।অক্টোবর মাসে
-১৬ অক্টোবরের আগেই UCAS Application সাবমিট করা। ( বি: দ্র: UCAS APPLICATION জুন মাসে শুরু হয়ে শেষ হয় ১৬ অক্টোবর )নভেম্বর মাসে
-১০ নভেম্বরের আগেই WRITTEN WORK জমা দিতে হয়।
ডিসেম্বর মাসে
-বাছাই করা শিক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ গ্রহনজানুয়ারি মাসে
-ভর্তির জন্য চুড়ান্ত সিলেকশন
এই ছিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা, ভর্তিতথ্য, পড়ার খরচ ও ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কিত অনেক মূল্যবান আলোচনা। আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা, ভর্তিতথ্য, পড়ার খরচ সম্পর্কিত অনেক অজানা বিষয় জেনেছেন। আপনারা যারা রিসেন্টলি HSC বা সমমানের পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছেন, দেশের নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন, তাদেরকে বলছি - রেজাল্ট ভাল হলে অক্সফোর্ডে একবার চেষ্টা করে নিজের ভাগ্যটাকে পরখ করে দেখতে পারেন। কথায় আছে "ভাগ্যে থাকলে ঠেকায় কে"। সৌভাগ্যক্রমে স্কলারশীপটা পেয়ে গেলে একটা ঝলমলে ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা